Dolancer.com এর বর্ননা
এই পোষ্টে আমি dolancer.com এর ছোটখাটো বর্ননা দিতে যাচ্ছি। আপনাদের মাঝে এমন অনেকে আছেন যারা- dolancer.com এর ইউজার কিন্তু Dolancer নিয়ে বেশি কিছু জানেন না, আবার কেউ কেউ হয়ত Dolancer এর নাম শুনেছেন কিন্তু এখনও রেজিষ্টার করেন নি বা করতে ভয় পাচ্ছেন বা করার কথা ভাবছেন, আবার এমনও কেউ থাকতে পারেন যে Dolancer.com এর নাম এই প্রথম শুনছেন। তাই আপনাদের অন্য কিছু বলার আগে dolancer.com কি? এখান থেকে কিভাবে আয় করে? কিভাবে টাকা তুলে এগুলো আলোচনা করাই আমি বেশী গুরুত্বপূর্ন মনে করছি। আসুন কম কথায় জেনে নেই ডুলেন্সারের Business Plan.
নিচের ছবিটা একটু দেখুন:
ডুলেন্সারের অফিসে এসে অথবা আপনার কোনো বন্ধু যদি ডুলেন্সারের সদস্য হয় তবে তার মাধ্যমে প্রথমে আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে। বর্তমানে তিন রকমের একাউন্ট খুলা যায়।
১) বেসিক ১০০ ডলার বা ৭,০০০ টাকার এ্যকাউন্ট
২) মডারেট ৩০০ ডলার বা ২১,০০০ টাকার এ্যকাউন্ট
৩) এডভান্স ৫০০ ডলার বা ৩৫,০০০ টাকার এ্যকাউন্ট
এ্যকাউন্ট করার পরে আপনি এখান থেকে চারটি পদ্ধতিতে আয় করতে পারবেন । নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল :
পদ্ধতি ১ : ক্লিক টু আর্ন(কাজ কিছুটা PTC এর মতই কিন্তু PTC নয়)
Dolancer.com এ লগইন করার পর আপনাকে কিছু ওয়েব এর লিংক দেবে ভিজিট করার জন্য, তাতে ক্লিক করে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করলেই আপনি ইন্সট্যান্ট ডলার পেয়ে যাবেন। কি? PTC এর মত মনে হচ্ছে তাই না? কিন্তু আসলে Dolancer এর CTE(Click to Earn) এবং সাধারন PTC(Paid to Click) এর মাঝে ব্যাপক পার্থক্য আছে। বিস্তারিত জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুন। সদস্যতা অনুযায়ী আপনি বিজ্ঞাপনের লিংক পাবেন । যেমন-
১ । বেসিক (৭০০০ টাকা) এই প্যাকেজ এর সদস্য হলে প্রতিদিন ১০০ টি লিংক পাবেন এবং প্রতিটি লিংক ক্লিক এর জন্য পাবেন ০.১ সেন্ট ( ৭০পয়সা )। তাহলে ১০০X০.১= ১ ডলার=৭০ টাকা।
২ । মডারেট ( ২১০০০ টাকা ) এই প্যাকেজ এর সদস্য হলে প্রতিদিন ৩০০ টি লিংক পাবেন এবং প্রতিটি লিংক ক্লিক এর জন্য ০.১ সেন্ট। =৩ ডলার=২১০ টাকা
৩ । এডভান্স ( ৩৫০০০ টাকা ) এই প্যাকেজ এর সদস্য হলে প্রতিদিন ৫০০ টি লিংক পাবেন এবং প্রতিটি লিংক ক্লিক এর জন্য ০.১ সেন্ট । =৫ ডলার=৩৫০ টাকা
পদ্ধতি – ২ : ফ্রিল্যান্সার হিসেবে
যদিও সবাই Click to Earn দিয়েই বর্তমানে সিংহভাগ অর্থ উপার্জন করছে কিন্তু আসলে ডুলেন্সারের মূল প্লান হল ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়। আপনি কিন্তু Dolancer.com এর Home Page এ কোথাও Click to earn বিষয়ক একটা কথাও দেখতে পাবেন না- কেননা Click to earn হল তাদের Optional Business Plan আসল টার্গেট ফ্রিলেন্সিং। প্রাথমিক ভাবে খুব বেশি Project না পাওয়া গেলেও খুব শিঘ্রই এখানে আরও প্রোজেক্ট পাওয়া যাবে এবং আপনারা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর কাজ করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। সবগুলো প্রজেক্টই ভেরিফাইড তাই টাকা না পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
পদ্ধতি – ৩ : ওয়েব লিজিং এর মাধ্যমে
ডুলেন্সারের একটি Unique অপশন হল ওয়েব লিজিং। আপনি শুধু ২ বছরের জন্য Dolancer কাছ থেকে উচ্চ রেঙ্কিং সম্পন্ন ওয়েব সাইট লিজ নেবেন। এখানে লিজিং নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করা হচ্ছে না কারন অনেকেরই এই লিজ নিয়ে একটি ভুল ধারনা আছে। Website Leasing নিয়ে ভুল ধারনা দূর করার জন্য এই লেখাটি পড়ুন। ****এমনি Simply বলতে গেলে বলা যায়, প্রতিদিন আপনার এ্যকাউন্টে মূল টাকার(যত টাকার লিজ নিবেন) ০.৫% করে জমা হতে থাকবে। এভাবে আপনি দুই বছর ঐ লিজ থেকে টাকা পেতে থাকবেন। যেমন: আপনি যদি ৩৫,০০০ টাকার(৫০০ডলার) একটা ওয়েব সাইট কিনেন; তবে প্রতিদিন আপনি পাবেন ৩৫০০০X০.৫%=১৭৫ টাকা; মাসে ১৭৫X৩০= ৫,২৫০ টাকা; ২ বছরে ৭৩০দিনX১৭৫টাকা= ১,২৭,৭৫০টাকা।(মূল টাকার প্রায় সাড়ে তিনগুন !)। আরও মজার কথা হল আপনাকে টাকা উঠানোর জন্য ২ বছর বসে থাকতে হচ্ছে না। যেহেতু প্রতিদিন টাকা পাচ্ছেন তাই ৫০ ডলার হয়ে গেলেই আপনি ঐ টাকা উঠিয়ে ফেলতে পারেন যেকোনো সময়। ****
পদ্ধতি ৪ : রেফারেন্স এর মাধ্যমে
প্রথমেই বলেছিলাম এখানে একাউন্ট করার জন্য অব্যশই স্পঞ্জর বা রেফারেন্স লাগবে। এটি একটি দারুন সুবিধা এই সাইটের। আপনার রেফারেন্সে যদি কেউ এ্যকাউন্ট খুলে তবে আপনি সাথে সাথে পাবেন ১০% বোনাস। অর্থাৎ আপনি যদি বেসিক এ এ্যকাউন্ট করান তবে পাবেন ৭০০টাকা(১০০ ডলার এ ১০ ডলার)। যদি মডারেট প্যাকেজ এ এ্যকাউন্ট করান তবে পাবেন ২১০০টাকা (৩০০ ডলার এ ৩০ ডলার) আর এডভান্স এ পাবেন ৩৫০০টাকা (৫০০ডলার এ ৫০ ডলার)। এরপর দ্বিতীয় একাউন্ট করালে আপনি তার ১০% বোনাসের পাশাপাশি আরও পাবেন ১০ ডলার(এটা মেচিং বোনাস>>একটু complicated বিষয় একাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই বুঝে নেবেন)।
উল্লেখ্য: আপনাদের মধ্য কেউ কেউ হয়ত শুনে থাকবেন Post to Earn এর কথা। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে হয়ত আপনারা dolancer.com এ পোস্ট টু আর্ন দেখতে পাবেন যা দ্বারা আপনি অতিরিক্ত আরও ২-৩ ডলারের মত আয় করতে পারবেন প্রতিদিন!
একটু ভেবে দেখুনঃ আপনি যদি ৭০০০টাকার একটি বেসিক একাউন্ট খুলেন তবে প্রতিদিন শুধু ক্লিক করেই পাচ্ছেন ১ ডলার মানে এক মাসে ৩০ ডলার=২১০০টাকা। তাই দেখা যায় সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই আপনি আপনার মূল টাকা তুলে ফেলতে পারছেন। আর Dolancer.com এর একাউন্টের কোনো মেয়াদ নেই। অর্থাৎ একবার একাউন্ট করলে তা হতে আপনি আয় করতে পারবেন আজীবন। আর কাজ জানলে Freelancing, Post to Earn দ্বারা কত আয় করবেন তা তো না বললেই চলে।
এতো গেল ডলার ইনকামের কথা কিন্তু আসল কথা হলো ডলার তুলবেন কিভাবে?
এখান থেকে ডলার তোলা যায় ৩টি পদ্ধতিতে-
. ১. Dolancer Eastern VISA Card এর মাধ্যমে। আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে এই কার্ডের জন্য Dolancer এর অফিসে তারপর কার্ড পাওয়ার পর যেকোনো দিন যেকোনো সময় Withdraw দিতে পারবেন। টাকা একাউন্টে জমা হতে সময় লাগে ১২-২৪ ঘন্টা।
. ২. Account To Account Transaction। এই পদ্ধতিতে এক এ্যাকাউন্ট থেকে অন্য এ্যাকাউন্টে যে কেউ যে কোন সময় ডলার ট্রান্সফার করতে পারবেন। মূলত এইভাবেই বেশীরভাগ টাকা তুলা হয়ে থাকে। আপনি যদি ডুলেন্সারের অফিসে এসে একাউন্ট করেন তবে আপনার আপার লাইনের কাছে আপনার ডলার সেন্ড করে সমপরিমান টাকা নিয়ে যেতে পারেন।
. ৩. Official Payment (acc.dolancer) প্রতি সপ্তাহে রবিবার অফিস থেকে ডলার উডডিউ বা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে শনিবার রাত ৯টার মধ্যে আপনার একাউন্টের টাকা acc.dolancer এই একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে। পরে রবিবার সকাল ১১টা থেকে ৫টার মধ্যে অফিসে এসে আপনার টাকা নগদ নিয়ে যেতে পারবেন।Minimum Withdrawal হচ্ছে ৫০ ডলার।
>>> এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে তবে নির্দিধায় কমেন্ট করতে পারেন নতুবা DOLANCER এর অফিসে এসে জেনে নিতে পারেন।
অফিসের ঠিকানাঃ কলাবাগান, অলতা প্লাজার ৬ তলায়।
>>> এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে তবে নির্দিধায় কমেন্ট করতে পারেন নতুবা DOLANCER এর অফিসে এসে জেনে নিতে পারেন।
অফিসের ঠিকানাঃ কলাবাগান, অলতা প্লাজার ৬ তলায়।